কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন, জনগণের ধাওয়ায় পণ্ড
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) আত্মগোপনে থাকা কাউন্সিলরদের পক্ষে মানববন্ধন করতে আসা লোকদের ধাওয়া দিয়েছে স্থানীয় জনগণ।
আজ মঙ্গলবার নগর ভবনের সামনে কয়েকজন নারী-পুরুষ ‘নাগরিক সেবা বঞ্চিত হয়ে কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে’ মানববন্ধন করতে এলে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান মেয়রসহ খুলনা সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ কাউন্সিলর। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলরদের পদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২ অক্টোবর ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের স্থলে কেসিসির ৩১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই কর্মকর্তারা নাগরিকত্ব, উত্তরাধিকার, চারিত্রিক, জন্ম ও মৃত্যু সনদসহ প্রয়োজনীয় প্রত্যয়নপত্র প্রদান এবং নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলমান রাখেন। কিন্তু কর্মকর্তারা নাগরিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন না, এই অভিযোগে মঙ্গলবার মানববন্ধন করতে আসেন কিছু মানুষ।
অভিযোগ উঠেছে, এই মানববন্ধনের পেছনে হাত রয়েছে প্যানেল মেয়র-৩ অ্যাডভোকেট মেমরী সুফিয়া রহমান শুনুসহ সাবেক কিছু কাউন্সিলরের।
এ সময় কয়েকজন কাউন্সিলরকে মানববন্ধনে সমন্বয় করতেও দেখা যায়। তারা কিছু নারী-পুরুষকে একত্রিত করে নগরভবনের সামনে মানববন্ধনের মাধ্যমে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের ধাওয়া দিলে তারা যে যার মতো পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে কেসিসির সামনে জড়ো হওয়া নারী-পুরুষদের একত্রিত করে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে সহযোগিতা করেন ওই প্যানেল মেয়র।
এর কিছুক্ষণ পরই প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা যায় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়নাকে।
মানববন্ধনে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রাজুল হাসান রাজুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ওসব ফাও কাজের মধ্যে নেই।’
কারা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আছে কিছু কাউন্সিলর।’ ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলী আকবর টিপু অথবা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স এগুলো জানেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের আস্থাভাজন ও কেসিসির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলী আকবর টিপুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।