শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫ || ৫ বৈশাখ ১৪৩২

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

মাদারীপুরের রাজৈরে ১৪৪ ধারা জারি

মাদারীপুরের রাজৈরে ১৪৪ ধারা জারি
আতশবাজি ফাটানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে টানা দুই দিন ধরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের রাজৈরে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই দিনব্যাপী এই সংঘর্ষে  উভয় পক্ষ অন্তত ৪০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।  এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৫০ আহত হয়েছেন।  এ ঘটনার জেরে সোমবার ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

রাজৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহফুজুল হক নিউজমেটকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ সোমবার দুপুর ১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আবার সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য টহলে রয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের ১১ জন আহত ও ২টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা হবে বলে জানান মোহাম্মদ মাসুদ খান।

পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার রাতে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে পুলিশের ৮ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। 

পরে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়।  সংঘর্ষে পুলিশের দুটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের ১২টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। পরে রাত ১১টার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কয়েক ঘণ্টা যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের ঘটনায় মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খানসহ পুলিশের ১১ সদস্য ও উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মেহেদী মীর (২২), রাসেল শেখ (২৮), সাহাপাড়ার মনোতোষ সাহা (৫০) ও আলমদস্তা গ্রামের মো. তোওফিককে (৩৭) রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা রাজৈর ও মাদারীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ