সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ || ৮ পৌষ ১৪৩১

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:১০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
ছবি : সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে রাঙামাটি জেলাতেও। খাগড়াছড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটিতে আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় বেলা দুইটা থেকে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ জারি করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত আদেশে আজ রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার কথা বলা হয়েছে।

একইভাবে আজ সকাল থেকে রাঙামাটিতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনার পর পৌর এলাকায় বেলা একটা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।


এর আগে খাগড়াছড়ির ঘটনার জের ধরে আজ সকাল থেকে রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়সহ অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রথম আলোর রাঙামাটি প্রতিনিধি সাধন বিকাশ চাকমার মোটরসাইকেলসহ অন্তত ১৫টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের ঘরবাড়ি, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ এবং তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটি স্টেডিয়াম এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন পাহাড়ি ছাত্র-জনতা। এতে প্রায় কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয়। স্টেডিয়াম থেকে মিছিলটি বনরূপা এলাকায় পৌঁছালে তাতে কে বা কারা পাথর নিক্ষেপ করে। এরপর পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাতের গোলাগুলি ও বিকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন পাহাড়ি নিহত হন। আহত হন অন্তত ১৫ জন।

বুধবার মোহাম্মদ মামুন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মারধর করার ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। আহত মামুন বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বিকেল দীঘিনালায় পাহাড়িদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়। তবে সেখানে কিছু বাঙালির দোকানও পুড়ে যায়।