বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১১:৫৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

ড. ইউনূসসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাতিল

ড. ইউনূসসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাতিল
ফাইল ছবি

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রতিষ্ঠানটির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বুধবার এ রায় দেন। অধ্যাপক ইউনূস বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

গ্রামীণ টেলিকমের ছয় কর্মকর্তা হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম এবং পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নুরজাহান বেগম (বর্তমানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) ও এসএম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

এর আগে, হাইকোর্ট এই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ বহাল রেখেছিলেন, যার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।

আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে ছিলেন।

রায়ের পর দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান নিউজমেট বিডি ডটকমকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূসসহ অন্যদের করা আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। অধ্যাপক ইউনূসসহ অন্যদের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তা বাতিল করা হয়েছে। ফলে অধ্যাপক ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি বাতিল হলো।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে অধ্যাপক ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তৎকালীন শীর্ষ ছয় কর্মকর্তা গত বছরের ৮ জুলাই আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে আদেশ দেন।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন অধ্যাপক ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এদিকে এরই মধ্যে রাষ্ট্র বা দুদকের পক্ষে পিপি মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। গত বছরের ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক।

লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। পাশাপাশি কনসাইজ স্টেটমেন্ট (আপিলের সারসংক্ষেপ) জমা দিতে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। 

মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূসসহ অন্যদের করা আপিলের ওপর গত ১৯ মার্চ শুনানি শেষ হয়। সেদিন আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ২৩ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেন। আজ রায়ে আদালত বলেন, ‘আপিল ইজ অ্যালাউড।’

সর্বশেষ