ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমের আদালতে আজ রোববার ডিবি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ না করে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য গত ২৯ জুলাই আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ রোববার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। তবে আদালত এ বিষয়ে আদেশ না দিয়ে, অভিযোগপত্র আমলে না নিয়ে- তারেক রহমানকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা’ বলে ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লন্ডনে আয়োজিত এক কর্মিসভায় বক্তব্যের একপর্যায়ে তারেক রহমান বলেন, আজ এ সভায় যারা উপস্থিত আছেন, আজ এই সভায় ক্যামেরার মাধ্যমে, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কী আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি- আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা? আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যতগুলো জাতি বাস করে, যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজ সবাই মিলে এই প্রস্তাব নিতে পারি? তাহলে আজ থেকে সিদ্ধান্ত হলো- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কর্মিসভায় তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য সংবলিত উদ্ভট যুক্তি দেন। তিনি জাতির পিতাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছেন।