স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়লো ছয় মাস
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানির বিপরীতে নেওয়া স্বল্পমেয়াদি ঋণের বকেয়া অর্থ পরিশোধের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এসব বকেয়া ঋণ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধের শর্ত ছিল। উদ্যোক্তারা আর্থিক ও ডলার সংকটে এসব বকেয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর ) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, আমদানির বিপরীতে নেওয়া সব ঋণই স্বল্পমেয়াদি। এগুলো পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর ফলে সার্বিকভাবে ঋণের স্থিতি বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে এর বিপরীতে বাড়তি সুদও পরিশোধ করতে হবে। এতে ডলারের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে।
প্রসঙ্গত, ডলার সংকটের কারণে ওইসব স্বল্পমেয়াদি ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে এগুলো পরিশোধের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বায়ার্স ক্রেডিট বা ক্রেতার ঋণ, সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট বা সরবরাহ ঋণের আওতায় শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক সার ও কৃষি উপকরণ আমদানির যেসব এলসি খোলা হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময় পাওয়া যাবে। এসব খাতে পণ্য আমদানির বিপরীতে যেসব ঋণ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধের শর্ত ছিল সেগুলো অনেক উদ্যোক্তা পরিশোধ করতে পারছেন না। ওইসব স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল থেকে নেওয়া ঋণে যেসব ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা হয়েছে, সেগুলো পরিশোধের ক্ষেত্রে এ বাড়তি সময় পাওয়া যাবে না। এসব অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে।