লোডশেডিং হলে প্রথমে ঢাকা শহরেই হবে: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা

গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে লোডশেডিং কম হয়, সে জন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, লোডশেডিং যদি হয় তাহলে প্রথমে ঢাকা শহরেই হবে, এরপর দেশের অন্য কোথাও হবে। আগের মতো প্রথমে গ্রামে হবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের সিআরবিতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এই মন্তব্য করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফিং করেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
পবিত্র রমজান মাসে লোডশেডিং না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বেশ কিছু ফ্যাক্টরের ওপর লোডশেডিং হওয়া না হওয়া নির্ভর করে। বিশেষ করে তাপমাত্রা বাড়লে চাহিদা বাড়বে। তবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখলে এক থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। কিন্তু অনেকেই এটি করছেন না। জনগণকে সচেতন হতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা এবার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘জলাবদ্ধতা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। বৃষ্টির পরিমাণ কেমন হবে তা একটু বড় ফ্যাক্টর। তবে এই দুর্ভোগ এবার অনেকটা লাঘব হবে। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে একটি জিনিস দেখে খারাপ লাগছে, কিছুদিন আগে খাল পরিষ্কার করা হলেও সেখানে এখন আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে এই কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। মানুষকে সচেতন করা হবে। ময়লা রাখার বিন দেওয়া হবে। এরপরও যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানাসহ শাস্তি দেওয়া হবে।’