মঙ্গলবার   ০৮ এপ্রিল ২০২৫ || ২৪ চৈত্র ১৪৩১

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ৭ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৭:১৬, ৭ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান নৃশংস হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আজ সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আশপাশে একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিগুলো বিকেল পর্যন্ত চলতে থাকে। রাজধানীর গুলশানে মার্কিন দূতাবাসের বিপরীতে পদচারী সেতুর সামনে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা ইসরায়েলবিরোধী নানা স্লোগান দেন, যেমন: "ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন", "ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে", "আমরা কারা, তোমরা কারা—ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন"।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একদল তরুণ গুলশানের মার্কিন দূতাবাস সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেন। তাদের অবস্থানের ফলে কিছু সময়ের জন্য সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সামনে অবস্থান নেয়।

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (UITS) এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজের শিক্ষার্থীরাও সকাল থেকে মার্কিন দূতাবাস সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

এদিকে, মধ্য বাড্ডা এলাকায়, মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি সড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। তারা এক ধরনের মানবপ্রাচীর তৈরি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, সকাল ১০টার পর থেকেই ভাটারা থানা এলাকায় বিভিন্ন ছোট ছোট দল বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। তারা এসে স্লোগান দিয়ে চলে যাচ্ছে।

মার্কিন দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ, সিআইডি, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সেখানে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে গুলশানে অবস্থিত অন্যান্য বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।

গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, “গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা বন্ধের দাবিতে অনেকেই আজ বিক্ষোভ করেছেন। এ জন্যই মার্কিন দূতাবাসসহ আশপাশের দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ সব নিরাপত্তা বাহিনী এখানে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।”

চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সতর্ক অবস্থান বজায় রাখা হয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়: