বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহীদের স্বাগত জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই
ঢাকা, ৮ এপ্রিল ২০২৫: চলমান আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আগত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আন্তরিক স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক নিয়মিত বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পীর সাহেব বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আমাদের জনগণ ধর্মভীরু, কিন্তু ধর্মোন্মাদ নয়। সততা, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা আমরা আমাদের ধর্ম থেকেই শিখেছি। এদেশের বিপুল সংখ্যক উদ্দীপনাময় ও শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠী বিনিয়োগের জন্য এক বিশাল সম্পদ।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অনেক শান্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়াও আগের তুলনায় অনেক উন্নত। ফলে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি অনন্য গন্তব্য। আমরা আপনাদের আগমনকে স্বাগত জানাই এবং একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিনিয়োগের সুরক্ষায় যা করণীয়, আমরা তা করবো—ইনশাআল্লাহ।”
পীর সাহেব চরমোনাই ইসলামে ব্যবসার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও পেশাগত জীবনে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ীদের নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সাথে রাখা হবে—এই হাদীস ব্যবসায়ীদের সম্মানের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। সেই আদর্শেই আমরা ব্যবসা-বিনিয়োগকে উৎসাহিত করি।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগিয়ে চলেছে। “আর যেন কোনো স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ফিরে না আসে, সে বিষয়ে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ,” বলেন তিনি।
সহিংসতা সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই স্পষ্ট করেন, “বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ সংস্কারমূলক ধারায় বিশ্বাসী। বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা দিয়ে পুরো পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা ঠিক নয়। সামগ্রিকভাবে দেখলে বাংলাদেশ একটি ইতিবাচক, শান্তিপ্রিয়, ও কর্মঠ জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবেই বিবেচিত হবে।”
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ পরিবেশে রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা জাগাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
