ডিসেম্বর ঘিরে নির্বাচনের প্রস্তুতি, রোডম্যাপ প্রকাশ জুন-জুলাইয়ে

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্য ধরে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের কাজ গুছিয়ে জুলাইয়ে ‘কর্মপরিকল্পনার’ মুদ্রিত কপি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় আগস্ট–সেপ্টেম্বর বা সম্ভব হলে তার আগে করা হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একটি নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা ধরে এগোচ্ছে। সে কর্মপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাসের তথ্য, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ করে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া একটি পর্যায়ে আনা হয়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইনের সংশোধনী নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ মাস তিনেকের মধ্যে শেষ করা যাবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রাক্–প্রস্তুতিমূলক কাজ মোটামুটিভাবে শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা আশা করছেন আগামী জুন–জুলাইয়ের দিকে মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা, যেটি নির্বাচনের আগে ইসি প্রকাশ করে, সেটা ছাপা হবে।
তিনি বলেন, সরকারঘোষিত সময়সীমা ঘিরেই তাঁরা এগোচ্ছেন। সেটি হচ্ছে ডিসেম্বর।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। তাঁরা নতুন যেসব দল নিবন্ধন পাবে এবং পুরোনো দল—সবাইকে নিয়ে মতবিনিময় করতে চান। নিবন্ধনের কাজ শেষ করা না হলে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে কষ্ট থাকবে। সেদিক বিবেচনা করে, ইসি সঠিক সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
তিনি বলেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময় আছে। এখন পর্যন্ত তিনটি দল আবেদন করেছে। নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি। সেটা হবে অক্টোবরের আগে, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে হতে পারে বা সম্ভব হলে এর আগে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তাঁরা।
আনোয়ারুল ইসলাম মনে করেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আরও ছয় মাস, আট মাস সময় পাওয়া গেলে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে মনে করে ইসি।