সাকিবের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক শুভেচ্ছাদূত এবং মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের (অর্থ পাচার) অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে তাঁর বিষয়ে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে বলে দুদকের উর্ধ্বতন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ অনুসন্ধানে ৯ এপ্রিল দুদক দুই সদস্যের একটি দল গঠন করে দুদক। উপপরিচালক মাহবুবুল আলমকে অনুসন্ধান দলের প্রধান করা হয়েছে। দলের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান। তাঁদের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি হয় দুদকের। এ ছাড়া হটলাইন-১০৬ উদ্বোধনকালেও তাঁর সঙ্গে কাজ করে সংস্থাটি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাকিব আল হাসান আর দেশে ফিরতে পারেননি।
পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও অনেকের সঙ্গে সাকিব আল হাসানও আসামি।
গত ২৮ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী। আবেদনে সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা ও জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, স্বর্ণ চোরাচালানে সম্পৃক্ততা, প্রতারণার মাধ্যমে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ, ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
৮ নভেম্বর সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার কথা জানায় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।