সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ || ৮ পৌষ ১৪৩১

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে আর ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বাংলাদেশে আর ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে আর ভারতের আধিপত্য চলবে না বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘যতদিন আমাদের মনে সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ ও সাজিদের রক্ত আছে, ততদিন ভারত এ দেশে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা হবে, সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।’

হাসনাত বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে বাংলাদেশ আর কোনো দিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।’

আজ বুধবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংবাদিক জোট আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত বলেন, বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, এটা হলো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু এই দেশের অখন্ডতা, বিদেশি আগ্রাসন, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না। সবাইকে একমত হতে বাধ্য করা- এটি হচ্ছে আওয়ামী কালচার।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে কম্প্রোমাইজ করে শাসন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার বছরের পর বছর আমাদের শাসন এবং শোষণ করেছে।তারা দিল্লিকে কিবলা বানিয়ে ঢাকাকে শাসন করেছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা যারা ভারতের পলিসি মেকার আছেন- মালদ্বীপকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি, শ্রীলংকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, নেপালের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, ভুটান আর মিয়ানমারের সঙ্গে আপনাদের কোন্দল, পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের সঙ্গে আপনাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নেই।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো ধমীয় কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়নি। তাই যদি হতো তাহলে নেপাল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তাদের সঙ্গে কেন ভারতের ভালো সম্পর্ক নেই।’

হাসনাত আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যতদিন ঐক্য আছে, ততদিন আমাদের মধ্যে কেউ বিভেদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের সামনে অনেক রাস্তা অতিক্রম করতে হলে, সেই পথ অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ। আমাদের মধ্যে ঐক্য রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য যেন পরমতসহিষ্ণুতার পর্যায়ে থাকে, আওয়ামী লীগের মতো দমন-নিপীড়নের পর্যায়ে যেন না যায়।

এর আগে উদ্বোধকের বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, এই জাতি যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন জুলাই অভ্যুত্থানের কথা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই বিজয় যেন চিরঞ্জীব থাকে, সেই দোয়া আল্লাহ তায়ালার কাছে করছি।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।