সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নতুন প্রস্তাবও আসছে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, 'প্রথম পর্যায়ে বিএনপির সঙ্গে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, আবার কিছু বিষয়ে মতবিরোধও আছে। যেসব বিষয়ে মতভেদ রয়েছে সেগুলো নিয়ে বিএনপি তাদের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং দ্রুতই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি, তারা যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, সেগুলোও আমরা পর্যালোচনা করব।'

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ১৭ ও ২০ এপ্রিল সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিশন বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসেছিল।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে।

এরপর সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে ঐকমত্য কমিশন।

পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নতুন প্রস্তাবও আসছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। 

তিনি বলেন, “আলোচনায় নতুন প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কারণ, এগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এসেছে কমিশনগুলোর কাছ থেকে।”

আলী রীয়াজ বলেন, ‘১৫ টি দলের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ পর্যায়ে এসেছে। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আশা করছি, বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনে (মঙ্গলবার) প্রাথমিক আলোচনা শেষ করতে পারব।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া আলোচনার বিষয়বস্তু কমিশন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টা দিক-নির্দেশনাও দিচ্ছেন।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান।

সংলাপে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।