পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচে অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করেন বাংলাদেশের কিশোররা। আজ শনিবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষেও প্রথমার্ধে দারুণ ফুটবল খেলে শুধু ফিনিশিংটাই শুধু করতে পারছিলেন না নাজমুল-মুর্শেদরা। উলটো দুই গোল খেয়ে বিদায়ের শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু সাইফুল বারীর দলের মানসিকতা ছিল উঁচুতে।
শেষ দিকে দুটি গোল করে ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। এরপর ভাগ্যের লড়াইয়ে ৮-৭ ব্যবধানে জিতে অনূর্ধ্ব-১৭ সাফের ফাইনালে পৌঁছে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
টাইব্রেকারে শুরুর সাতটি শটে কোনো ভুল করেনি দুই দলের ফুটবলাররা। অষ্টম শটে পাকিস্তানের শট ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক নাহিদুল ইসলাম।
এরপরের শট নিতে আসা আলিফ রহমান ইমতিয়াজ লক্ষ্যভেদ করলে শিরোপা মঞ্চে পা দেয় বাংলাদেশ। এর আগে চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই পাকিস্তানকে চাপে রাখেন নাজমুল ফয়সালরা। সুযোগ তৈরি করেও তা গোলে পরিণত করতে পারছিলেন না। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ৩২ মিনিটে এগিয়ে যায় পাকিস্তান।
কর্নারে উড়ে আসা বলে হেডে জালে পাঠান শাহাব আহমেদ। ৬০ মিনিটে ব্যবধানও বাড়িয়ে নেয় পাকিস্তান। পেনাল্টিতে গোল করেন আব্দুল রহমান।
দুই গোল হজমের পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ পাকিস্তানের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে। ৭৪ মিনিটে বদলি নামা মিঠু চৌধুরীর গোলে আশা বাঁচিয়ে রাখে।
আর যোগ করা চতুর্থ মিনিটে বাংলাদেশ পায় সমতা ফেরানো সেই গোল। রিফাত কাজীর ক্রসে মানিকের নিখুঁত প্লেসিং শট খুঁজে নেয় ঠিকানা। আগামী সোমবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।